ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় মুক্তি (প্রা:) হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে এসএসসি পাশ স্টাফ দিয়ে হাসপাতালের ল্যাব টেকনিশিয়ানের কাজ চালানো এবং লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকায় ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভানভীর ফরহাদ শামীম।
১৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে নবীনগর উপজেলার পৌরসভা এলাকায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার প্রসিকিউশনের প্রেক্ষিতে মুক্তি (প্রা:) হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেন তিনি।
এসময় সেখানে তিনি ওই হাসপাতালে এসএসসি পাশ স্টাফ দিয়ে হাসপাতালের ল্যাব টেকনিশিয়ানের কাজ চালানো ও যার ল্যাব টেকনিশিয়ানের কোন ধরনের ডিপ্লোমা ও প্রশিক্ষণ নাই,হাসপাতালের লাইসেন্সের মেয়াদ দুই বছর পূর্বে শেষ হলেও নবায়ন করা হয়নি এমন অনিয়ম দেখতে পান।
পরে উপরোক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নিকট জানতে চাইলে তারা অপরাধ স্বীকার করায় মেডিকেল প্র্যাকটিস এবং বেসরকারি ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরি নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ, ১৯৮২ এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০১৯ অনুযায়ী সর্বমোট ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়। সেই সাথে প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ও দক্ষতাসম্পন্ন টেকনিশিয়ান নিয়োগ ব্যাতিত ল্যাবের কাজ বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশনা দেন।
এ বিষয়ে ইউএনও তানভীর ফরহাদ শামীম বলেন, অনিয়ম দুর্নীতি সহ্য করা হবে না,তাই আমরা সরেজমিনে এসব বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করছি, ভবিষ্যতেও এধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এসময় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।