প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে অনেকেই কল রেকর্ড করে রাখেন। তবে অনেকেই অপর পাশের মানুষের অজান্তেই কল রেকর্ড করেন। এতে যে সব সময় ক্ষতি হয় তা কিন্তু নয়, মাঝেমধ্যে উপকারও হয় বটে। বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ মিটিং বা লেনদেনের ব্যাপারে।
এখন কল রেকর্ড করা খুবই স্বাভাবিক একটি ব্যাপার। কিছু কিছু মোবাইলে এখন অটোকল রেকর্ডিং থাকে। আবার বিভিন্ন থার্ট পার্টি অ্যাপের মাধ্যমেও এ কাজটি করা যায়। জরুরি কথা রেকর্ড করার প্রয়োজন পড়ে অনেক সময়। তবে অনুমতি ছাড়াই কল রেকর্ড করে তা দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করার ঘটনা অহরহ ঘটছে। সম্মান ক্ষুণ্ন করতে ছড়িয়ে দেওয়া হয় সামাজিক মাধ্যমগুলোতে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সেই ব্যক্তি, সঙ্গে তার পরিবার এবং সমাজও।
আগের মতো গোপনে কল রেকর্ড করার দিন ফুরিয়েছে। অ্যানড্রয়েড ফোনে যথেচ্ছ কল রেকর্ডিংয়ে বিধি-নিষেধ চাপিয়েছে গুগল। নতুন স্মার্ট ফোনে কল রেকর্ডিংয়ে বসালেই একটি যান্ত্রিক স্বরে ফোনের ওপারে থাকা ব্যক্তির কাছে বার্তা যাবে, ‘আপনার এ কলটি রেকর্ড করা হচ্ছে।’ আবার রেকর্ডিং বন্ধ করা হলে সেই বার্তাও দুজনে পাবেন। কনফারেন্স কলের ক্ষেত্রেও তাই হবে।যেসব ফোনে কল রেকর্ডিংয়ের সুবিধা রয়েছে, এদিকে কল রেকর্ডিংয়ের ঘোষণা শোনা যায় না এখনকার মতো, তাদের কলে ভালো করে কান পাতলেই কিন্তু জানতে পারবেন রেকর্ড চলছে কি না। কারণ ওইসব পুরনো মডেলের ফোন থেকে কল রেকর্ড করা হলে টানা একটি বিপ সাউন্ড শুনতে পাবেন আপনি। আর ফোনের মধ্যে এমন কোনো শব্দ পেলে সচেতন হয়ে যান। কারণ আপনার ওই কলটি রেকর্ড করা হচ্ছে। আপনার বলা কথা, তথ্য এমনকি আপনার গলাও কিন্তু ব্যবহার হতে পারে প্রতারণার কাজে।
আবার যেসব অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে এ ফিচার নেই তারা গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করে পেতে পারেন ভয়েস কল রেকর্ডিং করার সুবিধা। তবে কল রেকর্ড করার সময় অবশ্যই উভয়পক্ষের সম্মতি থাকা প্রয়োজন। এ ছাড়াও বিভিন্ন থার্ড পার্টির অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। গুগল প্লে স্টোরে এমন কিছু অ্যাপ পেয়ে যাবেন যেগুলো আপনাকে সাবধান করবে।